শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে মরুভূমির সাম্মাম

Reading Time: 2 minutes

শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :

শেরপুরের গারো পাহাড়ে এবার চাষ হচ্ছে মরুভূমি বা আরব দেশের ফল হিসেবে খ্যাত সাম্মাম বা রক মেলন ফল। গারো পাহাড় এলাকার এক তরুণ উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলকভাবে এ ফল চাষে সফল হয়ে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এরই মধ্যে আরব দেশের ফল চাষের খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষ তার ওই ফল বাগানে ভিড় করছেন এক নজরে দেখতে।
কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল ও ফুল। বাঁশের বাতা আর নেট ব্যাগ বা জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেন ফলে ভরে রয়েছে। সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ। বহির্বিশ্বে এ ফলের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশে এটির প্রচলন এখনও কম। এ ফলকে সৌদিতে সাম্মাম বলে, তবে বিভিন্ন দেশে এটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন ও হানি ডিউ নামেও পরিচিত। সাম্মামের দুটি জাত রয়েছে। একটি জাতের বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল। তবে খেতে দুই ধরনের ফলই খুব মিষ্টি ও রসালো।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতির উপজেলার নককুড়া ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম গোমরা। এ গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথমে ইউটিউবে দেখেন সাম্মাম ফল খুবই উচ্চমূল্যের একটি ফল। তাই তিনি এ ফল চাষে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে চলতি মাসের ফেব্রæয়ারি মাসে তার পৈতৃক ১০ শতক জমিতে ওই বীজ রোপণ করেন। মাত্র ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর পরাগায়ণের আরও ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল এবং সর্বশেষ এপ্রিল মাসের শেষ দিকে সে ফল পাকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে এ ফল খাওয়া ও বাজারে বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ। আনোয়ারের এ ফল চাষে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ফল বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। প্রতিটি ফল প্রায় দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। পাইকারি বাজারমূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতিটা ফল প্রায় দু-তিনশ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তার ধারণা।এ বিষয়ে ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, মরুভূমির এ ফল চাষ স¤প্রতি বাংলাদেশে শুরু হলেও শেরপুরে এটি প্রথম। তবে ফলন দেখে মনে করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যের এ সাম্মাম চাষ গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদে লাভবান ও আগ্রহ সৃষ্টি করবে স্থানীয় চাষিদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com